** আমার মহীরুহ **


** আমার মহীরুহ **
*রুমি চৌধুরী*
কৈশোর ছেড়ে যৌবনে পা রাখব যখন
ঠিক তখনই হঠাৎ
তুমি এলে আমার জীবনে।
ঠিক যেন একটা ঝড়ের মত।
না, না, ঠিক ঝড়ও নয়-
ঝড়ের মত কোন পূর্ভাবাসও তুমি দাওনি।

মুক্ত বিহংগের মত মুক্ত আকাশে
যখন মহানন্দে ডানা ঝাঁপটাচ্ছিলাম
ঠিক তখনই তুমি আমায়
বন্দী করলে তোমার শক্ত বাহুডোরে।
উড়ন্ত ডানাগুলো খুব সযতনে ধরে
বুকে তুলে নিলে অতি আদরে।
এরপর থেকেই তোমার ভালোবাসায়,
তোমার ছায়ায় একটু একটু করে
আমি পূর্ণতা পেলাম।
আধফোটা কলি থেকে প্রস্ফুটিত গোলাপ হলাম।
সংসারের কোন কষ্ট, দুঃখ, ঘাত- প্রতিঘাত
কিছুই স্পর্শ করতে পারেনি আমায়।
সব অনিশ্চয়তা থেকেই আগলে রেখেছ
তোমার সর্বস্বতা দিয়ে।

ভালোবাসার অপূর্ব এক ক্ষমতা আছে তোমার।
তাইতো বারবার পরাজিত হই
সেই আশ্চর্য অলৌকিক ক্ষমতার কাছে।
এতটা যত্ন! এতটা মনোযোগ!
আমি অভিভূত হয়ে যাই!
সত্যিই অবাক লাগে যখন দেখি
আজ এতটা বছর পরেও
তোমার কাছে আমি সেই
সদ্য কৈশোর পেরোনো মেয়েটিই রয়ে গেলাম।
তোমার কাছে আমার সেই
বয়সটা যেন স্থির দাঁড়িয়ে আছে।

আজ এমনি এই দিনে
তাই আমার অন্তরের প্রার্থনা-
আমৃত্যু তোমার কাছে আমি 
সেই সদ্য কৈশোর পেরোনো
মেয়েটিই থাকতে চাই।
আর বারবার পরাজিত হতে চাই
স্বর্গীয় ভালোবাসার ঐ আশ্চর্য ক্ষমতার কাছে। 

"কবিতায় যতটা না বাস্তবতা থাকে, তার চেয়েও বেশি থাকে কল্পনা। তাই কবিতার নায়কেরাও থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কাল্পনিক। তবে আমার এই কবিতাটির নায়ক কাল্পনিক কেও নয়। আজ আমাদের বিবাহবার্ষিকী। তাই আমার আজকের কবিতাটি আমার স্বামীকে নিয়েই লিখেছি। ১০ মে ২০১৬ "

Post a Comment

0 Comments